১. স্মার্ট বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলা কিভাবে স্মার্ট হয়ে উঠবে?
উত্তরঃ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জেলা হতে চাইলে এর ৪টি উপাদানেই স্মার্ট হতে হবে। অর্থাৎ, আমাদের জেলায় বসবাসকারী নাগরিকগণ যখন স্মার্ট হয়ে উঠবে, এই জেলার অর্থনীতির চাকা যখন স্মার্টভাবে ঘুরবে, প্রত্যেক সিটিজেন যখন স্মার্টভাবে তাদের নাগরিক সেবা পাবে অর্থাৎ, স্মার্ট গভর্মেন্ট থাকবে, তখন আমরা সর্বপরি একটি স্মার্ট সোসাইটি গড়ে উঠতে পারবে। এভাবেই আমাদের জেলা স্মার্ট হয়ে উঠবে। এ জন্য আমাদের প্রথমত প্রয়োজন হবে দক্ষ জনবল তৈরি করা। আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে, প্রথমত আমাদের জানতে হবে আগামীদিনের তথ্যপ্রযুক্তি কিভাবে আমাদের কাজে ব্যবহার করতে হবে। সেবা দাতা ও সেবা গ্রহীতা উভয় পক্ষের যদি এই বিষয়ে সঠিকে জ্ঞান থাকতে হবে তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য।
২. এটুআই এর স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো? এটি কিভাবে স্মার্ট জেলা তৈরিতে ভুমিকা রাখবে?
উত্তরঃ স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমরা প্রথমে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা ঠিক করেছি “স্মার্ট খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা”। যেহেতু কৃষি আমাদের দেশের টিকে থাকার প্রধান ভুমিকা পালন করে তাই আমরা এই আঙ্গিকে চিন্তা করেছি। এই আইডিয়া বাস্তবায়ন হলে একটি জেলার সকল খাদ্য গুদামের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিটি খাদ্য গুদামে কী পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে, বিভিন্ন ডিলার যে পরিমাণ খাদ্য সংরক্ষণ করছেন, যে পরিমাণ খাদ্য পাইকারী বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন – এ সংক্রান্ত সকল তথ্য তাত্তক্ষণিকভাবে জানা যাবে। এর ফলে কারো পক্ষে খাদ্য দ্রব্যের অবৈধ মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা রোধ করাসহ রিয়েল টাইম মনিটরিং করা যাবে। সর্বোপরি, এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিল।
৩। স্মার্ট জেলা বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ স্মার্ট জেলা বাস্তবায়ন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। কারো একার পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়। এটি বাস্তবায়িত হলে সকলেই এর উপকার ভোগ করতে পারবে যেভাবে আমরা বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাদি ভোগ করতে পারছি। সরকার নীতিনির্ধারক হিসেবে মূল ভূমিকা পালন করবে। এর বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ মাঠ পর্যায় থেকে তত্ত্বাবধান করা হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ একটি দেশের অর্থনীতির সিংহভাগ বহন করে। তাই স্মার্ট ইকনোমি গড়ে তুলতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। নাগরিকদের ভূমিকাও অনুরূপ। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সকলকেই এই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্মার্ট জেলা বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস