এ জেলার বুনট অনুসারে মাটির ধরন প্রধানত বেলে, দোঁয়াশ ও দোঁয়াশ মাটি। বেলে দোঁয়াশ মাটির পরিমাণ শতকরা ৬০.৬৭ ভাগ, দোঁয়াশ মাটির পরিমাণ শতকরা ১৯.৭৯ ভাগ, বেলে মাটির পরিমাণ শতকরা ৮.৭০ ভাগ, এটেল দোঁয়াশ মাটির পরিমাণ শতকরা ৬.৪৮ ভাগ, এটেল মাটির পরিমাণ শতকরা ৪.৩৬ ভাগ। জমির শ্রেণি বিভাগ করলে দেখা যায় প্রায় ৯০.৮৪% নীট আবাদী জমি উঁচু এবং মাঝারি উঁচু।
কৃষকদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ ভূমিহীন, ২৪.৯ ভাগ প্রান্তিক, ২৪.৪ ভাগ ক্ষুদ্র, ১৮ ভাগ মাঝারি এবং বড় শ্রেণির কৃষক ৭.৭ ভাগ। বড় কৃষকদের মাথা পিছু জমির পরিমাণ ৩ হেক্টরের উপরে। সকল প্রকার ভূ-সম্পত্তির মালিকদের মধ্যে শতকরা ৬৭.১৫ ভাগ মালিকের মাথা পিছু কৃষি জমির পরিমাণ ০.১৪ হেক্টর। যে সমস্ত কৃষকের জমির পরিমাণ মাথা পিছু শতকরা ০.২০ হেক্টরের নিচে তাদের চরম প্রান্তিক এবং যাদের মাথা পিছু জমির পরিমাণ ০.২০ থেকে ১.০০ হেক্টরের মধ্যে তাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের দলে ফেলা হয়েছে।
অনেক ভূমিহীন এবং প্রান্তিক কৃষক বর্গাচাষ করে, অনেকে আবার দিনমজুর হিসাবেও কাজ করে। এ এলাকায় তেভাগা আন্দোলনসহ অন্যান্য কৃষক আন্দোলনের ফলে কৃষকরা নিজেদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। বর্গাচাষীরা তাদের ন্যায্য হিস্যা জমির মালিকদের নিকট থেকে বুঝে নেয়। বর্গাচাষী ফসল উৎপাদনের জন্য শ্রম ও শ্রমের যোগান দেয় আর জমির মালিক অন্যান্য ব্যয় বহন করে। বিনিময়ে বর্গাচাষী ও জমির মালিক উৎপাদিত ফসল ভাগাভাগি করে নেয়।
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের ভূমি ব্যবহার বিন্যাসে পরিলক্ষিত হয় যে, নীট আবাদী জমির পরিমাণ ১৪২৩৩০ হেক্টর। ফসলের নিবিঢ়তা শতকরা ১৯২ ভাগ। এক ফসলী জমি শতকরা ১১ ভাগ, দোফসলি জমি ৭৫ ভাগ এবং তেফসলি জমি ১০ ভাগ। চাষযোগ্য চলতি পতিত জমির পরিমাণ শতকরা ৪ ভাগ। নীট আবাদী জমির শতকরা ৬৩% ভাগ সেচ সুবিধাযুক্ত। সম্প্রতি বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইউনিট-৩) এ এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে সেচ সুবিধা প্রদান করছে। বিভিন্ন উপজেলায় সেচের মাধ্যমে ব্যাপক বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। তবে এখনও কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আধুনিক প্রযুক্তি প্রবর্তন করা সম্ভব হয়নি। নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির ধান ও অন্যান্য ফসলাদি ফলানোর চেষ্টা চলছে। অনেক ক্ষেত্রে সফলতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস