অতীতে খেলাধুলার অঙ্গনে মেয়েদের তেমন সুযোগ সুবিধা ছিল না। যেটুকু খেলাধুলা হতো- তা ঠাকুরগাঁও বালিকা বিদ্যালয়কে ঘিরেই। মহিলা ক্রীড়া সংস্থা তেমন সক্রিয় ছিল না বা সামাজিক প্রেক্ষাপটে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ ছিলনা। আগে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাগণই মহিলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব পালন করতেন। বর্তমানে একটি পূর্ণাঙ্গ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসকের স্ত্রী এই সংস্থার সভানেত্রী। সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করছেন প্রীতি গাঙ্গুলী। সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যেও আশির দশকে কয়েকজন তরুণী বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ঠাকুরগাঁয়ের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আঞ্জুমান আরা বেবী (বর্তমানে শিক্ষিকা ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি)। তিনি স্কুলে ও পরবর্তীতে ঠাকুরগাঁও সরকারী মহিলা কলেজ থেকে উচ্চলম্ফে প্রথম হয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে পুরস্কার পান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা ভলিবল দলের অধিনায়ক হয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় খেলেন। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব দেখান মরহুম ডাঃ আজিজ উদ্দীন আহাম্মেদের মেয়ে আইভি (দৌড় ও দীর্ঘলম্ফ), আকলিমা ও শিল্পী (বর্শা নিক্ষেপ), আঞ্জু (চাকতি ও লৌহ গোলক নিক্ষেপ), চায়না ও শিল্পী (দৌড়), রীমা ও মুনমুন (ব্যাডমিন্টন), নাসিমা ও গাথী গাঙ্গুলী (চাকতি, বর্শা ও লৌহ গোলক নিক্ষেপ) এবং আলেয়া (দৌড়)। তারা সবাই এই সমস্ত ইভেন্টে বিভাগীয় পর্যায় পুরস্কার লাভ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস