দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে টাঙ্গন নদী। নদীটির এক পাশে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা অপর পাশে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা। আশির দশকেও এই নদীতে বারো মাস পানির প্রবল স্রোত বইতো। কিন্তু বর্তমানে এ অঞ্চলের অন্যান্য নদীর মতই টাঙ্গন নদীও যৌবন হারিয়ে মৃতপ্রায়।
টাঙ্গনের যৌবন হারানোর প্রভাব পড়ে নদীর আশপাশের এলাকাগুলোতেও। নদীর দুই পাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। টাঙ্গন নদীর দুপাশে বোচাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি পানির অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকতো শুষ্ক মৌসুমে। এই ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করতে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত তিনগুণ খরচ হত। এ কারণে অধিকাংশ জমিই পড়ে থাকতো অনাবাদি হয়ে। এই সমস্যা সমাধানে ২০১৩ সালে দুই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখতে নির্মাণ করা হয় একটি রাবার ড্যাম। এই রাবার ড্যাম নির্মাণের পর থেকেই হাসি ফোটে দুই উপজেলার প্রায় ২১টি গ্রামের মানুষের মুখে।
রাবার ড্যামের সেচের আওতায় আসে টাঙ্গন নদীর দুই পাশের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি। রাবার ড্যাম নির্মাণের পর এই এলাকার শত শত কৃষকের জীবন বদলে যায়। বোচাগঞ্জ উপজেলার রাণীরঘাট ও পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী রাবার ড্যাম এলাকায় রাবার ড্যামটি ফুলিয়ে নদীর বুকে ধরে রাখে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি। আর সে পানি দিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমে বোচাগঞ্জ উপজেলায় সুলতানপুর, সেনিহারি, ফুটকিবাড়ি, রানীরঘাট ও পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনি, বাঁশগাড়া, চাপোড়, মছলন্দপুর, মশালডাঙ্গী, শিরাইল, জগন্নাথপুর, চান্দোহরসহ টাঙ্গনের দুপাশের প্রায় ২১ গ্রামের বিশাল এলাকা জুড়ে জমিতে চাষাবাদ করেন কৃষকরা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস