সংগ্রামে, ত্যাগে, বীরত্বে অপরাজেয় সময় একাত্তর। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উজ্জ্বল স্মৃতি যুগ যুগ ধরে মুক্তিকামী সবাইকে জোগাবে প্রেরণা। আর তাই রক্তাক্ত এই সময়ের মহিমাকে আরও বাড়িয়ে দিতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ 'অপরাজেয় ৭১'। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর শহরের পাশে টাঙ্গন নদীর তীরে স্মৃতিসৌধ 'অপরাজেয়-৭১' নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর পাড়ে নৈসর্গিক পরিবেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধটির নকশা ও ডিজাইন করেছেন প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম এবং ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন স্বাধীন চৌধুরী। ৭১ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট অপরাজয় '৭১-এর বেদির ক্ষেত্রফল ১৯৭৬ বর্গফুট। বেদিতে ৬টি ধাপ ও সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই 'অপরাজেয়-৭১' এর অর্থায়ন করেছে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও। অপরাজেয়-৭১ নির্মাণের পর পাল্টে
গেছে শহরের পাশে টাঙ্গন নদীর পাড়।
এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে 'মুক্তির মন্দির সোপান তলে' নামক একটি প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়েছিল। মূলত এটি ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, তেভাগা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক চিহ্ন হিসেবে। পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয় এর উদ্যোগে এবং তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও এমপি রমেশ চন্দ্র সেন মহোদয়ের উৎসাহে বর্তমান অপরাজেয়’ ৭১ নামক স্মৃতিস্তম্ম্ভ স্থাপনের উদ্দেশ্যে নকশা আহ্বান করা হয়। নির্বাচিত নকশার মূল বিষয়গুলো ছিল-
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস